মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে তথ্য চেয়ে দুই সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর দু’টি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
দুদকের একটি সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল সংক্রান্ত নথির জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সাহেদের ব্যাংকিং লেনেদেন সংক্রান্ত নথির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (১৩ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে। যার জন্য তিন সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।
কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।
দুদক সূত্র জানায়, ক্ষুদ্র ঋণ ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া নাম-পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ, আয়কর ফাঁকির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, সার্টিফিকেট দেওয়া ও রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দু’টি হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। অভিযানে গিয়ে প্রতারণার সত্যতা মেলে, সেইসঙ্গে পাওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য। পরদিন গত ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরে এর দু’টি হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটি প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে। অভিযানের সময় রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকসহ আটজনকে আটক করেছে র্যাব। তবে চেয়ারম্যান সাহেদ এখনও ধরা পড়েনি।